শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই পেতে দেরী হচ্ছে

 

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই পেতে দেরী হচ্ছে


প্রাথমিকে ৯ কোটি ৬৪ লাখ বইয়ের মধ্যে দেয়া হয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ।

মাধ্যমিকে ৩১ কোটি বইয়ের মধ্যে দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৫১ হাজার

 

নতুন শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের নতুন পাঠ্যবই ছাপানোর এবং বিতরণের প্রক্রিয়া যথাসময়ে সম্পন্ন হয়নি। ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও পাঠ্যবইগুলোর যথাযথ বিতরণে যে গতি আশা করা হয়েছিল, তা এখনো অর্জিত হয়নি। বাংলা মাধ্যমের বেশ কিছু শিক্ষার্থী এক থেকে তিনটি বই পেয়েছে, তবে ইংরেজি ভার্সনের বইয়ের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি হয়নি। বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন পাঠ্যবই এখনও বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে দেখছে না। এই অবস্থার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের পরেই হয়তো সব শিক্ষার্থী তাদের প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই পাবে, যদি না কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে আরো দেরি হয়।

 

English 2nd Paper

(Grammer & Written Part)

Class Start: 10th January

( যারা ১০ তারিখের মধ্যে ভর্তি হবে )

সপ্তাহে ৩ দিন লাইভ ক্লাস (Zoom/Google meet)

৬ষ্ঠ-৮ম:  200 Taka (প্রতি মাসে)

 400  (আগের মূল্য) 

৯ম-১০: 300 Taka (প্রতি মাসে)

 500  (আগের মূল্য)

 
(এর অফার সীমিত সময়ের জন্য)

 English 2nd Paper course: ভর্তি হবার জন্য এখানে ক্লিক করুন

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের সময়সূচি অনুসারে পাঠদান শুরু হওয়া নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের শেখার কার্যক্রমে ভাটা পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বইয়ের ছাপানোর কাজের এই দেরির পেছনে রয়েছে কিছু বিশেষ পরিস্থিতি। যখন আগস্টের পর বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়, তখন পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন, বইয়ের পরিমার্জন এবং দরপত্রের প্রক্রিয়া একযোগে চলছিল, যা এই দেরির জন্য দায়ী। এর ফলে শিক্ষকদের উপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এসে পড়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় কোনো রকম সমস্যা না অনুভব করে। এজন্য শিক্ষকদের উচিত এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে পাঠ্যবই সংগ্রহ করে নিয়মিত ক্লাস চালিয়ে যাওয়া, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি না হয় এবং তারা স্বাভাবিক গতিতে নিজেদের পাঠ্যক্রম শেষ করতে পারে

 

এবারের শিক্ষাবর্ষের জন্য এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) প্রায় ৪১ কোটি বই ছাপানোর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ৬৪ লাখ, এবং ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ কোটি ২৪ লাখ বইয়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং ছাপানো হয়েছে ৪ কোটি ৮১ লাখ বই। যদিও প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের ছাপানোর প্রক্রিয়া অনেক ভালোভাবে এগিয়েছে, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইয়ের ছাপানো প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে চলছে। এই দুটি শ্রেণির বইয়ের ছাপানো কাজের মধ্যে প্রায় ১৬ শতাংশ বইয়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে

 

মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা মোট ৩০ কোটি ৯৬ লাখের কাছাকাছি, এবং ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ২ কোটি ৩৭ লাখ বইয়ের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে, তবে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ বই ছাপানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি হচ্ছে ইংরেজি ভার্সনের বইগুলো। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীরা এখনও তাদের পাঠ্যবই পায়নি। এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি ভার্সনের বইগুলো ছাপানোর কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি এবং বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর জন্য আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে

 

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি সব বই, ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের প্রায় আটটি বই এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তারা দ্রুত গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে দেরি হওয়া বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারে এবং শিক্ষাবর্ষের সঠিক সময়ে পাঠদান শুরু করা যায়


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন